, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ঢাকা উত্তর সিটির বাজেট ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ১৩৮৪ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে। বুধবার (২৫ জুন) গুলশান-২ এর নগর ভবনে আয়োজিত ডিএনসিসির সপ্তম সভায় এই বাজেট অনুমোদন করা হয়।নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় সমানভাবে ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ। ডিএনসিসির প্রশাসক জানিয়েছেন, এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সম্প্রসারিত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে।বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে সড়ক ও অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ ২ হাজার ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা (৩৩ শতাংশ)। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা (৮ শতাংশ) এবং মশক নিয়ন্ত্রণে ১৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৩ শতাংশ) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অফিসার-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ।রাজস্ব আহরণের উৎস হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে ৪৫ শতাংশ আয় প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় ও অনুদান সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।সভায় ‘ওয়ার্ড সচিব’ পদবির নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ অথবা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’ করার প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তবে ডিএনসিসি আশা করছে, এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসী আরও উন্নত নাগরিক সেবা পাবে।

Popular Post

এবার ঢাকা উত্তর সিটির বাজেট ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।

Update Time : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে। বুধবার (২৫ জুন) গুলশান-২ এর নগর ভবনে আয়োজিত ডিএনসিসির সপ্তম সভায় এই বাজেট অনুমোদন করা হয়।নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় সমানভাবে ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ। ডিএনসিসির প্রশাসক জানিয়েছেন, এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সম্প্রসারিত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে।বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে সড়ক ও অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ ২ হাজার ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা (৩৩ শতাংশ)। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা (৮ শতাংশ) এবং মশক নিয়ন্ত্রণে ১৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৩ শতাংশ) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অফিসার-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ।রাজস্ব আহরণের উৎস হিসেবে হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে ৪৫ শতাংশ আয় প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় ও অনুদান সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।সভায় ‘ওয়ার্ড সচিব’ পদবির নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ অথবা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’ করার প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তবে ডিএনসিসি আশা করছে, এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসী আরও উন্নত নাগরিক সেবা পাবে।