সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
উন্নয়ন পরিকল্পনায় দূরদর্শিতার অভাবে প্রতিবছর কমছে বিমান ও পর্যটন খাতের বাজেট। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ, অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির অবারিত সুযোগ থাকলেও তা মিলছে না। একদিকে অব্যবস্থাপনায় সংকুচিত হচ্ছে দেশের এয়ারলাইনস ব্যবসা। অন্যদিকে বিশ্বমানে পিছিয়ে পর্যটন শিল্প। আসন্ন জাতীয় বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্বজুড়েই এয়ারলাইনস ও পর্যটন ব্যবসা রমরমা হলেও একেবারেই ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশে। গত ২৫ বছরে কার্যক্রম শুরুর পর হারিয়ে গেছে ১০টি দেশীয় এয়ারলাইনস সংস্থা। এ খাতে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই নীতিনির্ধারকদের।
দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও টানা যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিদেশি পর্যটক। নেপালে বছরে ১০ লাখ, শ্রীলঙ্কায় ১৪ লাখ ও মালদ্বীপে বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে প্রায় ১৮ লাখ বিদেশি পর্যটক।
বাংলাদেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অসুবিধার কারণে বিদেশি পর্যটকবান্ধব হয়ে এখনো গড়ে উঠেনি বলে মত ট্যুর অপারেটরদের। আসছে বাজেটে সেদিকেই গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ তাদের। আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, এই খাতে একটি বড় বাজেট দরকার। এখানে বিনিয়োগ করলে ফ্লাইটের সংকট, টিকিটের অতিরিক্ত দামের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
এদিকে প্রয়োজন থাকলেও প্রতি অর্থবছরে কমছে বাজেটে বরাদ্দ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৭০০৩ কোটি টাকা তিন বছরে কমে চলতি বছরে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে খরচ করতে পারে না মন্ত্রণালয়। বড় দুর্বলতা ব্র্যান্ডিংয়ে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল হক বলেন, শিল্পের উন্নয়ন বা ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কতটুকু ব্যয় করা হচ্ছে, তা নিরূপণ করতে হবে। অতীতে দেখা গেছে, যে বাজেট দেয়া হয়েছে; সেটি খরচ করতে পারেনি ট্যুরিজম বোর্ড।
বাস্তবতা তুলে ধরে বিশ্ব পরিভ্রমণকারী বাংলাদেশি কন্যা নাজমুন নাহার বলছেন, পর্যটকরাই একটি দেশের পর্যটনের মূল ব্র্যান্ডিং। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিবেশবান্ধব করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে ২০৪১ সালের মধ্যে কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান হবে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার।