, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভুয়া ডিজিটাল যুদ্ধ শুরু করেছে পাকিস্তান, ভারতের অভিযোগ

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১৮ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭৩ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
অপারেশন সিঁদুরে ব্যাপক ‘মার খেয়ে’ এখন পাকিস্তান ভুয়া ডিজিটাল যুদ্ধ শুরু করেছে। এমনই দাবি করেছে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। পাকিস্তানপন্থি সোশ্যাল মিডিয়া ভারতীয় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য পুরানো ভিডিও, ভুয়া ছবি এবং ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে একটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক দ্রুত এই মিথ্যা দাবিগুলোকে খণ্ডন করে পাকিস্তানের ডিজিটাল যুদ্ধের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা শুরু করেছে।

পাকিস্তানপন্থি বেশ কয়েকটি টুইটার এবং টেলিগ্রাম হ্যান্ডেল ৬ মে একটি ভিডিও শেয়ার করতে শুরু করে যেখানে দেখানো হয়েছে যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতের শ্রীনগর বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিওটিতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, জ্বলন্ত ভবন এবং যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল দেখানো হয়েছে। যাতে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি বড় ধরণের ব্যর্থতার মিথ্যা ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়েছে,ভিডিওটি সাম্প্রতিক বা ভারতের নয়। এটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে তোলা। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় রেকর্ড করা হয়েছিল। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বা শ্রীনগর বিমানঘাঁটির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

পাকিস্তানভিত্তিক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি ভারতীয় সেনা ব্রিগেড সদর দফতর ধ্বংস করেছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানাচ্ছে, এই দাবির কোনও সত্যতা নেই। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এ ধরণের কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি এবং কোনও সরকারি সামরিক বিবৃতিতেও এই ধরণের ঘটনাকে সমর্থন করা হয়নি। এই ভুয়া দাবির উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে, আইএসআই-সমর্থিত তথ্য যুদ্ধ অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত বেনামী টুইটার অ্যাকাউন্ট।

পাশাপাশি এই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অংশ হিসেবে, বিধ্বস্ত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের একটি ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে পাকিস্তানি হামলার কারণে ভারতীয় বিমানবাহিনী সম্প্রতি কাশ্মীর বা রাজস্থানে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানাচ্ছে, ছবিটি রাজস্থানের বারমের থেকে তোলা এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি মিগ-২৯ বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল কারিগরি ত্রুটির কারণে এবং পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। এর সঙ্গে বর্তমান ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই এবং অবশ্যই কোনও বহিরাগত আগ্রাসনের সঙ্গেও এর কোনও সম্পর্ক নেই।

হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ডিজিটালি পরিবর্তিত একটি ‘সরকারি পরামর্শ’ ঘুরছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ভারত সরকার নাগরিকদের খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ মজুদ করে রাখার এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যা সূক্ষ্মভাবে ইঙ্গিত করে যে যুদ্ধ বা জাতীয় জরুরি অবস্থা আসন্ন। এই পরামর্শটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ভারতের কোনও সরকারি সংস্থা,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরণের কোনও বিবৃতি জারি করেনি। এই ভুয়া পোস্টের পিছনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট: জনসাধারণের উদ্বেগ, পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ লাইন এবং সংকটের একটি কৃত্রিম অনুভূতি তৈরি করা।

পিআইবি বলেছে, এগুলো পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক মোতায়েন করা বৃহত্তর, আরও ছলনাময়ী হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশলের অংশ। যখন সামরিক বিকল্প সীমিত হয় এবং কূটনৈতিক ফ্রন্ট ভেঙে পড়ে, তখন পাকিস্তান তার সবচেয়ে সহজলভ্য অস্ত্র, বিভ্রান্তিকর তথ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একটি পুরনো, প্রসঙ্গহীন ভিডিওকে ‘বিজয়ের’ প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরার এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা পাকিস্তানের গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং প্রচারণার উন্মাদনার প্রতীক। এটি কেবল মিথ্যা নয় – এটি ডিজিটাল জগতে ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ।

৭/৪/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/শামীমা

ভুয়া ডিজিটাল যুদ্ধ শুরু করেছে পাকিস্তান, ভারতের অভিযোগ

Update Time : ১৮ ঘন্টা আগে


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
অপারেশন সিঁদুরে ব্যাপক ‘মার খেয়ে’ এখন পাকিস্তান ভুয়া ডিজিটাল যুদ্ধ শুরু করেছে। এমনই দাবি করেছে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। পাকিস্তানপন্থি সোশ্যাল মিডিয়া ভারতীয় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য পুরানো ভিডিও, ভুয়া ছবি এবং ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে একটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক দ্রুত এই মিথ্যা দাবিগুলোকে খণ্ডন করে পাকিস্তানের ডিজিটাল যুদ্ধের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা শুরু করেছে।

পাকিস্তানপন্থি বেশ কয়েকটি টুইটার এবং টেলিগ্রাম হ্যান্ডেল ৬ মে একটি ভিডিও শেয়ার করতে শুরু করে যেখানে দেখানো হয়েছে যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতের শ্রীনগর বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিওটিতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, জ্বলন্ত ভবন এবং যানবাহনের বিশৃঙ্খল চলাচল দেখানো হয়েছে। যাতে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি বড় ধরণের ব্যর্থতার মিথ্যা ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়েছে,ভিডিওটি সাম্প্রতিক বা ভারতের নয়। এটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে তোলা। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় রেকর্ড করা হয়েছিল। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বা শ্রীনগর বিমানঘাঁটির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

পাকিস্তানভিত্তিক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি ভারতীয় সেনা ব্রিগেড সদর দফতর ধ্বংস করেছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানাচ্ছে, এই দাবির কোনও সত্যতা নেই। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এ ধরণের কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি এবং কোনও সরকারি সামরিক বিবৃতিতেও এই ধরণের ঘটনাকে সমর্থন করা হয়নি। এই ভুয়া দাবির উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে, আইএসআই-সমর্থিত তথ্য যুদ্ধ অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত বেনামী টুইটার অ্যাকাউন্ট।

পাশাপাশি এই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অংশ হিসেবে, বিধ্বস্ত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের একটি ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে পাকিস্তানি হামলার কারণে ভারতীয় বিমানবাহিনী সম্প্রতি কাশ্মীর বা রাজস্থানে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক জানাচ্ছে, ছবিটি রাজস্থানের বারমের থেকে তোলা এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি মিগ-২৯ বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল কারিগরি ত্রুটির কারণে এবং পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। এর সঙ্গে বর্তমান ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই এবং অবশ্যই কোনও বহিরাগত আগ্রাসনের সঙ্গেও এর কোনও সম্পর্ক নেই।

হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ডিজিটালি পরিবর্তিত একটি ‘সরকারি পরামর্শ’ ঘুরছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ভারত সরকার নাগরিকদের খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ মজুদ করে রাখার এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যা সূক্ষ্মভাবে ইঙ্গিত করে যে যুদ্ধ বা জাতীয় জরুরি অবস্থা আসন্ন। এই পরামর্শটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ভারতের কোনও সরকারি সংস্থা,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরণের কোনও বিবৃতি জারি করেনি। এই ভুয়া পোস্টের পিছনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট: জনসাধারণের উদ্বেগ, পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ লাইন এবং সংকটের একটি কৃত্রিম অনুভূতি তৈরি করা।

পিআইবি বলেছে, এগুলো পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক মোতায়েন করা বৃহত্তর, আরও ছলনাময়ী হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশলের অংশ। যখন সামরিক বিকল্প সীমিত হয় এবং কূটনৈতিক ফ্রন্ট ভেঙে পড়ে, তখন পাকিস্তান তার সবচেয়ে সহজলভ্য অস্ত্র, বিভ্রান্তিকর তথ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একটি পুরনো, প্রসঙ্গহীন ভিডিওকে ‘বিজয়ের’ প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরার এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা পাকিস্তানের গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং প্রচারণার উন্মাদনার প্রতীক। এটি কেবল মিথ্যা নয় – এটি ডিজিটাল জগতে ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ।

৭/৪/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/শামীমা