, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নোটিশ :

পাকিস্তানে যেসব স্থানে হামলা চালানোর দাবি করলো ভারত

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১৯ ঘন্টা আগে
  • ১৩৭৫ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দুই সপ্তাহ আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার জবাবে পাকিস্তানে চালানো বিমান হামলায় নয়টি ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ ধ্বংস করার দাবি করেছে ভারত। দেশটির দাবি, এগুলো ছিল জঙ্গিদের ব্রেনওয়াশ, প্রশিক্ষণ ও অভিযান চালানোর ঘাঁটি। তবে পাকিস্তান বলছে, ছয়টি স্থানে আঘাত হানা হলেও সেগুলো কোনও জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ভারত যেসব স্থাপনাকে নিশানা করেছে সেগুলোর কথা তুলে ধরেছে।

মারকাজ তাইবা ক্যাম্প

ভারতের দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাম্প ছিল লস্কর-ই-তইয়্যেবার সদর দফতর। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত অভিযুক্ত আজমল কাসাব এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সেই হামলায় ১৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছিলেন।

মারকাজ সুবহান ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিমি ভেতরে থাকা এই ক্যাম্পটি জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর ছিল বলে ভারতের দাবি। এখানে সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও ধর্মীয় উগ্রপন্থায় দীক্ষা দেওয়া হতো।

মেহমুনা জয়া ক্যাম্প

ভারতের দাবি, সীমান্ত থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরের এই ক্যাম্পটি ছিল হিজবুল মুজাহিদীনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকেই ২০১৬ সালে ভারতের একটি বিমান ঘাঁটিতে চালানো হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়, যাতে সাতজন নিহত হয়।

গুলপুর ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটি ছিল লস্কর-ই-তৈয়্যবার অন্যতম ঘাঁটি। ভারত বলছে, গত জুনে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ অঞ্চলে তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সম্পৃক্ততা ছিল। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাকিউর রহমান লখভি এই ঘাঁটিতে নিয়মিত দীক্ষা ও বক্তৃতা দিতেন।

সারজাল ক্যাম্প

ভারতের দাবি, মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে চারজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনার জঙ্গিরা এই ক্যাম্প থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিযান চালায়। ক্যাম্পটি সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ কিমি ভেতরে অবস্থিত।

আব্বাস ক্যাম্প

এই ক্যাম্পকে লস্কর-ই-তৈয়্যবার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের ‘নার্ভ সেন্টার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত। এটি সীমান্ত থেকে ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত।

সাইয়্যেদনা বেলাল ক্যাম্প

ভারতের মতে, এটি ছিল জইশ-ই-মুহাম্মদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। একই সঙ্গে এই ক্যাম্পে কাশ্মীরে টিকে থাকার কৌশল শেখানো হতো।

সওয়াই নালা ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাম্পটিকে লস্কর-ই-তৈয়্যবার অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারত।

বারনালা ক্যাম্প

ভারতের দাবি, এই ক্যাম্পে অস্ত্র পরিচালনা, বোমা তৈরির কৌশল এবং জঙ্গলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তান বলছে, ভারত যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে সেগুলোতে কোনও জঙ্গি উপস্থিত ছিল না এবং তারা যথাযথ জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। তবে এখনও সরাসরি কোনও পাল্টা হামলা চালানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছে। এরপর থেকেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

৭/৫/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/ শামীমা

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত শতাধিক

পাকিস্তানে যেসব স্থানে হামলা চালানোর দাবি করলো ভারত

Update Time : ১৯ ঘন্টা আগে


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দুই সপ্তাহ আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার জবাবে পাকিস্তানে চালানো বিমান হামলায় নয়টি ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ ধ্বংস করার দাবি করেছে ভারত। দেশটির দাবি, এগুলো ছিল জঙ্গিদের ব্রেনওয়াশ, প্রশিক্ষণ ও অভিযান চালানোর ঘাঁটি। তবে পাকিস্তান বলছে, ছয়টি স্থানে আঘাত হানা হলেও সেগুলো কোনও জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ভারত যেসব স্থাপনাকে নিশানা করেছে সেগুলোর কথা তুলে ধরেছে।

মারকাজ তাইবা ক্যাম্প

ভারতের দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাম্প ছিল লস্কর-ই-তইয়্যেবার সদর দফতর। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত অভিযুক্ত আজমল কাসাব এখানেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সেই হামলায় ১৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছিলেন।

মারকাজ সুবহান ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিমি ভেতরে থাকা এই ক্যাম্পটি জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর ছিল বলে ভারতের দাবি। এখানে সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও ধর্মীয় উগ্রপন্থায় দীক্ষা দেওয়া হতো।

মেহমুনা জয়া ক্যাম্প

ভারতের দাবি, সীমান্ত থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরের এই ক্যাম্পটি ছিল হিজবুল মুজাহিদীনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকেই ২০১৬ সালে ভারতের একটি বিমান ঘাঁটিতে চালানো হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়, যাতে সাতজন নিহত হয়।

গুলপুর ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটি ছিল লস্কর-ই-তৈয়্যবার অন্যতম ঘাঁটি। ভারত বলছে, গত জুনে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ অঞ্চলে তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে এখানকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সম্পৃক্ততা ছিল। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাকিউর রহমান লখভি এই ঘাঁটিতে নিয়মিত দীক্ষা ও বক্তৃতা দিতেন।

সারজাল ক্যাম্প

ভারতের দাবি, মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে চারজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনার জঙ্গিরা এই ক্যাম্প থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিযান চালায়। ক্যাম্পটি সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ কিমি ভেতরে অবস্থিত।

আব্বাস ক্যাম্প

এই ক্যাম্পকে লস্কর-ই-তৈয়্যবার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের ‘নার্ভ সেন্টার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত। এটি সীমান্ত থেকে ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত।

সাইয়্যেদনা বেলাল ক্যাম্প

ভারতের মতে, এটি ছিল জইশ-ই-মুহাম্মদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। একই সঙ্গে এই ক্যাম্পে কাশ্মীরে টিকে থাকার কৌশল শেখানো হতো।

সওয়াই নালা ক্যাম্প

সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত এই ক্যাম্পটিকে লস্কর-ই-তৈয়্যবার অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারত।

বারনালা ক্যাম্প

ভারতের দাবি, এই ক্যাম্পে অস্ত্র পরিচালনা, বোমা তৈরির কৌশল এবং জঙ্গলে টিকে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তান বলছে, ভারত যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে সেগুলোতে কোনও জঙ্গি উপস্থিত ছিল না এবং তারা যথাযথ জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। তবে এখনও সরাসরি কোনও পাল্টা হামলা চালানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গত মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছে। এরপর থেকেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

৭/৫/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/ শামীমা