, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বড় অগ্রগতি দাবি ফ্রান্সের

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ১৩৭৩ Time View

শুল্কযুদ্ধের অবসানে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। গত শনিবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে। অংশ নিয়েছেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। প্রাথমিক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডে আজ (শনিবার) চীনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি নতুন করে সাজানো হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের কল্যাণে আমরা দেখতে চাই, মার্কিন ব্যবসার-বাণিজ্যের জন্য চীন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বড় অগ্রগতি হয়েছে।’
শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। দেশটির কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৪ নয়, এবার থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি শুল্কবৃদ্ধির ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

ট্রাম্পের শুল্কারোপের ঘোষণা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। তবে কয়েকদিনের উত্তাপের পর শুল্ক ইস্যুতে সুর নরম করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধির লড়াই অবসানের ইঙ্গিত দেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়, শুল্ক নিয়ে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে দেশটির পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের কথা বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে।

সেই আবহেই এবার আশার আলো দেখাচ্ছে জেনেভার এই বৈঠক। মার্কিন অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন উচ্চপদস্থ চীন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। একটা সিদ্ধান্তে না আসা পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে বলে জানা গেছে।

শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বড় অগ্রগতি দাবি ফ্রান্সের

Update Time : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

শুল্কযুদ্ধের অবসানে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। গত শনিবার (১০ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে। অংশ নিয়েছেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। প্রাথমিক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডে আজ (শনিবার) চীনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি নতুন করে সাজানো হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের কল্যাণে আমরা দেখতে চাই, মার্কিন ব্যবসার-বাণিজ্যের জন্য চীন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বড় অগ্রগতি হয়েছে।’
শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। দেশটির কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৪ নয়, এবার থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি শুল্কবৃদ্ধির ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

ট্রাম্পের শুল্কারোপের ঘোষণা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। তবে কয়েকদিনের উত্তাপের পর শুল্ক ইস্যুতে সুর নরম করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধির লড়াই অবসানের ইঙ্গিত দেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়, শুল্ক নিয়ে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে দেশটির পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের কথা বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে।

সেই আবহেই এবার আশার আলো দেখাচ্ছে জেনেভার এই বৈঠক। মার্কিন অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন উচ্চপদস্থ চীন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। একটা সিদ্ধান্তে না আসা পর্যন্ত এই বৈঠক চলবে বলে জানা গেছে।