অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া উপকূলীয় এলাকায় ফেলে যাওয়া ৭৮ জন বাংলাভাষীর মধ্যে ৭৪ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অপর চার জন ভারতীয়। নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে কোস্টগার্ড সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গত ৯ মে একটি ভারতীয় জাহাজ ও স্পিডবোটযোগে এসব মানুষকে বঙ্গোপসাগরের একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরে তারা হেঁটে এসে আশ্রয় নেন শ্যামনগর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে।
শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ করে ৭৮ জনকে নির্জন উপকূলীয় চরে ফেলে যাওয়া অত্যন্ত বিস্ময়কর। বিষয়টি জানার পরপরই বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয় এবং শুকনো খাবার, চাল-ডাল ও বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়।’
কোস্টগার্ড জানায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পর ১১ মে দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের মোংলায় আনা হয়। সেখান থেকে একই জাহাজে করে তাদের শ্যামনগরের উদ্দেশে রওনা করা হয়েছে, যেখানে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এসব বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পরে বঙ্গোপসাগরের নির্জন চরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের ওপর কোনও নির্যাতন বা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। একইসাথে আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির পরিপন্থী এই পুশ-ইন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে।
১২/৫/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা