গাজায় ইসরাইল ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পর উপত্যকাটির অনেক বাসিন্দা অনাহারে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৬ মে) মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গাজার দিকে নজর রাখছি। আমরা পরিস্থিতির যত্ন নেব। সেখানে অনেক মানুষ অনাহারে রয়েছে।’
তবে যত্ন নেয়া বলতে ট্রাম্প কী বুঝিয়েছেন বা গাজায় ইসরাইলি লাগাতার হামলা নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
১০ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরাইল। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপত্যকার প্রায় ২১ লাখ মানুষ গুরুতর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে গত একদিনে ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরও ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ইসরাইল স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে বড় আকারে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কাজ শুরু করতে যাচ্ছে একটি ফাউন্ডেশন। তবে এ উদ্যোগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অংশ নেবে না জাতিসংঘ। যদিও বিতর্কিত এই পরিকল্পনার আওতায় দক্ষিণ গাজায় কয়েকটি বিতরণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। উত্তরেও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এ বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তিনি। রুবিও বলেন, হামাস যাতে সহায়তা লুট করতে না পারে, এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
এদিকে হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে তারা গাজায় আটকে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। শর্তগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবায়নের দিক থেকে শান্তির পথ এখনও অনিশ্চত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।