অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া বেশ কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত। শনিবার (১৭ মে) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (DGFT) থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন বন্দর-সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
ভারতের Foreign Trade (Development & Regulation) Act, 1992 এবং ২০২৩ সালের ফরেন ট্রেড পলিসির আলোকে ITC (HS), 2022-এর ‘General Notes Regarding Import Policy’ অংশে যুক্ত হওয়া নতুন ধারা ১৯ অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে নির্দিষ্ট বন্দর ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা চালু করা হয়েছে।
স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
প্রজ্ঞাপন (নোটিফিকেশন নম্বর: ০৭/২০২৫-২৬) অনুসারে, বাংলাদেশে উৎপাদিত সব ধরনের তৈরি পোশাক (Ready Made Garments) এখন থেকে ভারতের নভা শেবা (Nhava Sheva) ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ছাড়া অন্য কোনও বন্দর, বিশেষ করে স্থলবন্দর, ব্যবহার করে আমদানি করা যাবে না।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে আমদানিতেও কড়াকড়ি
এছাড়া ফল, ফলজাত ও কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার (বেকারি, চিপস, স্ন্যাকস, কনফেকশনারি), তুলা ও সুতা বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি সামগ্রী (শিল্প কাঁচামাল ব্যতীত), এবং কাঠের আসবাবপত্র— এইসব পণ্যের আমদানি আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের কোনও স্থল শুল্ক স্টেশন (LCS) বা আন্তর্জাতিক প্রবেশপথ (ICP) দিয়ে করা যাবে না। একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা ও ফুলবাড়ি বন্দরের ক্ষেত্রেও।
কিছু পণ্য পেয়েছে ছাড়
নতুন নিয়মে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও কুচানো পাথর আমদানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তাছাড়া, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রফতানি হওয়া ট্রানজিট পণ্যর ক্ষেত্রেও এই সীমাবদ্ধতা কার্যকর হবে না।
বাণিজ্যে বাড়ছে চাপ
ভারত সরকারের দাবি, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা ও আমদানিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, হঠাৎ করে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপে বাংলাদেশি রফতানিকারকরা বাড়তি ব্যয় ও সময়ের চাপে পড়বেন। এতে দুই দেশের বাণিজ্যে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়া যাবে DGFT-এর ওয়েবসাইটে।
১৮/৫/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা